ভালুকায় আসপাডা পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশের কার্যালয়ে সোমবার দুপুরে নির্বাহী প্রধান লায়ন আব্দুর রশিদ এক সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন । সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, স্থানীয় বন বিভাগ হাই কোর্টের আদেশ অমান্য করে আমাকে হয়রানী করছে।
এমএ রশিদ বলেন, উপজেলার হবিরবাড়ি মৌজার ৪১৩ ও ৪৩৮ নম্বর দাগে বনবিভাগের সাথে ডিমারগেশন করে ১৭ একর জমি ২০১৫ সালে তিনি পলমল গ্রুপের কাছে বিক্রি করে দেন। পরে পলমল গ্রুপ ওই জমিতে স্থাপনা করতে গেলে বনবিভাগ তাতে বাঁধা দেয়। ওই ঘটনায় তিনি ২০১৮ সালে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের কললে বিচারপতি আশরাফুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর দ্বৈতবেঞ্চ বনবিভাগের বিরুদ্ধে ৩ মাসের নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে। নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পর জেলা বনকর্মকর্তা (ডিএফও) লিখিতভাবে তাকে (আব্দুর রশিদ) ওই জমিতে কাজ করেতে নিষেধ করেন। বিষয়টি আবারো উচ্চ আদালতে রিট আবেদন (১৫২৪১) করা হলে বিচরপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মো: খাইরুল আলমের দ্বৈতবেঞ্চ ২০২২ সালে আদালত বনবিভাগের বিরুদ্ধে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। বনের গাছ কাটার অভিযোগে বিনা তদন্তে বন বিভাগ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। কয়েকটি পত্রিকায় এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা । তিনি আরও বলেন, ‘কোনদিন অন্যায় ভাবে আমি মানুষের, সমাজের, রাষ্ট্রের কল্যানকর কাজ ছাড়া অন্য কোন কাজের সাথে কোনদিন জড়িত ছিলাম না, এখনও নই। আমার প্রতিষ্ঠিত আসপাডা পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনে এক হাজার লোক কাজ করছেন। আমি ১৯৯৩ সাল থেকে বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী কার্যক্রম, শিক্ষা সহায়তা, স্বাস্থ্য, কৃষি, গৃহ নির্মান, বৃক্ষরোপন ,সেনিটেশন ব্যবস্থপনা নিয়ে কাজ করছি । আমাদের কার্যক্রমের মডেল বিদেশেও পরিচালিত হচ্ছে।’ তিনি আরো বলেন , তার সংস্থা সারা দেশে প্রায় ৩০ লক্ষ গাছ লাগিয়েছে অথচ বনবিভাগ তাকে গাছ কাটায় অভিযুক্ত করেছে । তিনি গনমাধ্যমকর্মীদের সহযোগীতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন